পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আফতাব পুনাওয়ালা নামের ২৮ বছর বয়সী তরুন যুবক তার লিভিং পার্টনার শ্রদ্ধা ওয়ালকার নামের এক তরুণীকে গত ১৮ ই মে শ্বাসরোধ করে খুন করেছিল। তারপর তার দেহটিকে ৩৫ টি টুকরো করে দক্ষিণ দিল্লির মেহরৌলিতে বাড়ি ফ্রিজে প্রায় তিন মাস ধরে রেখে দিয়েছিলেন। তারপর তা তিনি জঙ্গলে পুতে আসতেন। শ্রদ্ধার সব দেহাংশের হদিশ এখনো পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। পুলিশি তদন্তে এর আমি চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। গ্রেফতার করা হয়েছে আফতাবকে।
আফতাব নিজেই খুনের কথা স্বীকার করেছে। শ্রদ্ধার দেহাংশ এবং তাকে খুন করার জন্য কি ধারালো অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে সেই তদন্তেই আছে পুলিশের দল।
পুলিশে তদন্ত থেকে জানা গেছে, মোবাইলের একটি ডেটিং অ্যাপ থেকেই আফতাব এবং শ্রদ্ধার পরিচয়। তাদের প্রেম এতটাই গভীরে যায় যে, মহারাষ্ট্রের পালঘড়ের তরুণী আফতাবের সঙ্গে সারা জীবন কাটানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছিল। বাবা মাকে ছেড়ে তারা সহবাস করতে শুরু করেছিল। কিন্তু ভালোবাসার কি পরিহাস, সেই প্রেমিকের হাতেই খুন হতে হলো শ্রদ্ধা কে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায় যে আফতা অন্য মহিলার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। সেই সময় তিনি শ্রদ্ধার দেহাংশকে লুকিয়ে রাখতেন আলমারির মধ্যে। এই ঘটনার তদন্ত যত এগোচ্ছে ততই নতুন রহস্য উঠে আসছে। এর মধ্যে সেই ধারালো অস্ত্রের ঘটনা খুবই উল্লেখযোগ্য।